Friday, September 4, 2009

বাগেরহাট হবে ডিজিটাল

ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে আমরা সবাই বোধোয় একযোগে ঝাপিয়ে পরেছি। পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে কিন্তু বেশ মজার এবং কাজের মনে হচ্ছে।  একদল মানুষ অনবরত চেষ্টা করছে সবাইকে ডিজিটাইজড করার। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। ঢাকায় বসবাসকারী একটা ছেলে/মেয়ে-র সাথে প্রান্তিক শ্রেণীর আরেকজন মানুষের এই পরিচয় পর্বটা কিংবা পরিচয় করানোর চেষ্টাটা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।

এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি সংযোজন বাগেরহাট জেলাকে ডিজিটাইজড করা। অক্টোবর মাসের  ২ এবং ৩ তারিখ হবে এই কার্যক্রম। তবে এটাকে শুরু এবং শেষ ভাবার কোনো কারন নেই। কারন এটা মাত্র শুরু, শেষতো করবো আমরা ...আমাদের পরের প্রজন্ম, তার পরের প্রজন্ম...

দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে বাগেরহাট জেলাকে ডিজিটাল করার জন্য কি কি করতে হবে তা বের করা, কী
কী হচ্ছে তা জানা ও জানানো আর সর্বোপরি নিজেদের তৈরি করা

সম্ভাব্য কর্মসূচি

প্রথম দিন

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা : স্বাধীনতা চত্ত্বর থেকে শিল্পকলা একাডেমি
তথ্য মেলা প্রদর্শনী
উদ্ভাবনী মেলা
সুন্দরবনকে ভোট দেওয়ার বুথ
সেমিনার : ডিজিটাল বাগেরহাট : করনীয় নির্ধারণ
উইকিপিডিয়ার জন্য ছবি প্রতিযোগিতা
সাংস্কৃতিক অনুষ্টান
টেলিস্কোপে আকাশ দেখা ও আকাশ চেনা প্রতিযোগিতা
ক্যাবল নেটওয়ার্কে তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদশর্নী
গণিত অলিম্পয়াড
উত্তর পত্র মূল্যায়ন
সংখ্যা বিষয়ক কর্মশালা - শিক্ষার্থীদের জন্য
গণিত শিক্ষকদের জন্য কর্মশালা

দ্বিতীয় দিন
উইকিপিডিয়াতে বাগেরহাটের তথ্য হালনাগাদ করা
সেমিনার : অপরাধ দমনে তথ্য প্রযুক্তি
শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটারে উপস্থাপনা প্রতিযোগিতা
মুক্ত আলোচনা : ডিজিটাল বাগেরহাট – কীভাবে এগোবো
পুরস্কার বিতরণী


আপনিও চলে আসুন আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগে যোগ দিতে। নিয়ে আসুন আপনার কোনো একজন বন্ধুকে। আসতে পারছেন না। কোনো সমস্যা নেই। আপনার চিন্তাটা আমাদের সাথে শেয়ার করুন, হয়তো আপনার এই চিন্তাই আমাদের কাজকে আরেকটু এগিয়ে দিলো...

বন্ধুসভার বন্ধুদের জন্য

করছি, করবো এই কথাগুলো বলে আমরা যারা অনবরত নাকে তেল দিয়ে ঘুমাই, কিছু বাচ্চা ছেলে-মেয়ে তাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে কাজ করতে হয়। যেমন ধরা যাক, বন্ধুসভার বন্ধুদের কথা। কতই বা বয়স আমাদের এই ক্ষুদে বন্ধুদের; ২০-২৫?!! কোনো ভালো কিছু করার চেষ্টা করে দেখুন আর তার সাথে বন্ধুসভার বন্ধুদের রাখার পরিকল্পনা করুন। আপনার চেষ্টার, চিন্তার বাস্তব এবং স্বার্থক রুপ দেখতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না। আমার ধারনা কবির কবিতার কিছু ছত্র (যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার সময় এখন তার-ই) আমার এই বন্ধুদের মাথায় ঢুকে গেছে, ওরা আর বের হতে পারছে না এই মন্ত্র থেকে।

(আমি সব সময় প্রার্থনা করি আমার এই বন্ধুরা যেন এই মন্ত্রনা থেকে বের হতে না পারে :D)